ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ডা. মিনহাজের অনুসারী কলিম্যা বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিপনের উপর হামলা
নিউজ ডেস্ক :: সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের দিদারুল ইসলাম শিপনের ওপর জামাত ক্যাডার কলিম্যা বাহিনীর হামলা।
সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য,বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুজিব আদর্শের সৈনিক,মাননীয় সাংসদ -১৫ প্র. ড. আবু রেজা নদভীর বিশ্বস্ত জনাব দিদারুল ইসলাম শিপন এর ওপর জামাত- শিবির ক্যাডার এবং আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হত্যা মামলার ১৩ নং আসামি(মামলা নং ২০) কলিম্যা বাহিনীর ন্যাক্কারজনক এবং বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাইদুর রহমান দুলাল, যুগ্ন- আহবায়ক হারেজ মুহাম্মদ , সদস্য এমদাদ হোসেন খন্দকার, কাঞ্চনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছ জাকের উনারা প্রতিবাদে বলেন-সাতকানিয়ার যুবলীগ নেতা,মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দিদারুল ইসলাম সিপনের উপর চাকতাই এ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্টানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী কতৃক বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এবং অন্যান্য অংগসংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদদের নেতৃবৃন্দরা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের অভিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নিজ নিজ বিবৃতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ১২/০৫/২০২০ ইং রাতে আনুমানিক ৮ টার দিকে জামাত ক্যাডার কলিম্যার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন হামলাকারীরা অস্ত্র -স্বস্ত্র নিয়ে দিদারুল ইসলাম শিপনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায় বর্তমানে দিদারুল ইসলাম শিপন চিকিৎসা অবস্থায় আছেন বলে জানা যায়
আরো উল্লেখ্য যে, কিছু দিন আগে ছাত্রলীগের দক্ষিণ জেলা কমিটিতে সাবেক শিবির ক্যাডার অন্তর্ভুক্ত নিয়ে সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হোসাইন কবিরের এক বিবৃতি ছিল এই রকম★ আলমগীর হত্যা মামলার ১৩ নং আসামি কলিম উল্লাহ নব গঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ★
এবং বিগত ১৭/১০/২০১৭ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ছিল এই রকম
★গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় এওচিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের মামলার আসামি কলিম উল্লাহ। এছাড়াও তিনি আরও একটি নাশকতা মামলার আসামি★
উক্ত কলিম উল্লাহ কেন্দ্রীয় স্বাচিপ নেতা আ,ম,ম মিনহাজুর রহমানের অনুসারী বলে জানা যায়
উপরোক্ত বিষয়টি দিদারুল ইসলাম শিপন উনার ফেসবুকে শেয়ার করলে জামাত শিবির ক্যাডার কলিম্যা হুমকি দিতে শুরু করে অতিসত্বর পোস্ট ডিলিট না করলে প্রাননাশের করবে বলে বিভিন্নভাবে প্রেসার দিতে থাকে পরবর্তীতে
হামলাকারীরা হামলার বিষয়ে আগে থেকেই নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যা হুবহু এই রকম
কলিম উল্লাহ -*অই লোকটার ট্রিটমেন্ট দরকার আছে*
আরেকজন লিখেছেন ★ভাই এই রকম লোকটাকে এস্পেসাল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে,যে ট্রিটমেন্ট ওজন বরদাশ করতে না পারে,সব সড়র পড়র বন্ধ হয়ে যাবে ★
আরও উল্লেখ্য যে,দিদারুল ইসলাম শিপনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরায় ঘটনার ক্লিয়ার ফুটেজে কলিম্যা এবং তার অনুসারীদের হামলার দৃশ্য পাওয়া যায়
সচেতন ত্যাগী আওয়ামী লীগদের মতে ‘কলিম উল্লাহ সুবিধাবাদী মানসিকতা থেকে জামাত শিবির ক্যাডার থেকে কিছু নেতাদের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের কমিটিতে সুকৌশলে ঢুকে পড়েছে আর নেতৃত্বের কোন্দলে কোনো কোনো নেতা দল ভারী করতে বহিরাগতদের দলে নিয়েছেন সুতরাং অচিরেই এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে আহবান করেছেন।
এই বিষয়ে দিদারুল ইসলাম শিপনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে অতর্কিত ভাবে জামাত শিবির ক্যাডার এর হামলার সুস্থ বিচার চাই এবং তিনি আরো বলেন আমি এই জামাত শিবির ক্যাডার এর বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা রুজু করেছি।
আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতৃবন্দসহ সবাই দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ থেকে এই অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী ক্যাডারকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন।