যে কারনে ড.নদভীকে ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দেখতে গুঞ্জন চলছে!
এনামুল হক তাসনিম : চট্টগ্রাম ১৫ আসনের মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভীকে ধর্মমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় দেখতে ফের গুঞ্জন চলছে চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে । সম্প্রতি ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ ইন্তেকালের পর ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর পদটি খালি হয়ে যায়। ধর্মীয় জ্ঞানের স্কলারদের মাধ্যমে ধর্মীয় কাজের সেবা বেশি হয় বলে সাধারণ জনতা মনে করেন। ড.নদভী বিভিন্ন ধর্মীয় কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছেন দুই যুগের অধিক সময় ধরে। ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্টান, ধর্মীয় সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন তিনি। দেশের কওমী আলেম,সুন্নি আলেম, পীর মাশায়েখ, তরিকতপন্থী, খানকা, তাবলীগ জামায়াত সহ বিভিন্ন ধর্মীয় মহলে রয়েছে বেশ পদচারণা ও সর্বস্তরের ওলামাদের সাথে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
বিরোধী রাজনীতির ঘাটি তথা দুর্গকে তছনছ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা নৌকার বিজয় হওয়ায় প্রফেসর ড.নদভীকে মন্ত্রিসভায় দেখতে জোর দাবী উঠেছিল সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সর্বস্তরের জনগনের পক্ষ থেকে । ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে বিরুধীদলের সকল ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাস কে কঠোর হস্তে দমন করতে সক্ষম হয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই জনপদ জামাত বিএনপির দাপট ছিল। কিন্তু সেই দুর্গ ড. নদভীর ক্যারিশ্মাটিক নেতৃত্বে নির্মুল হয়। যার দরুন বিরোধী রাজনৈতিক দল দিন দিন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধভাবে গড়ে তোলে। স্বাধীনতার পর থেকে সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় কোনো মন্ত্রী পায়নি।পার্শ্ববর্তি আসন চন্দনাইশ, বাশঁখালী ও চকরিয়াবাসীর কপালে মন্ত্রী জূটলে ও এই এলাকাবাসীর ভাগ্যে মন্ত্রী জুটেনি যার দরুণ এলাকার মানুষ খুবই হতাশ ছিল। বঞ্চিত হয়েছিল উন্নয়ন থেকে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এলাকাবাসী ও আলেম ওলামাগন জোর দাবী করেছিল প্রফেসর ড.আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভীকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেওয়ার জন্য । ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহর প্রস্থানে ফের দাবী উঠে চট্রগ্রাম সহ সাতকানিয়া লোহাগাড়ার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী, শুভকাঙ্খীদের ও ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মীয় চিন্তা চেতনা লালনকারীদের পক্ষ থেকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে ড. নদভী কে পেতে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ফের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চলছে । এবং সমর্থন দিচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারী সাতকানিয়া লোহাগাড়াবাসী সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। একাদশ নির্বাচনের পূউর্বে প্রফেসর নদভী সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন। সাংবাদিক, কওমী আলেম, সরকারি আলীয়া মাদ্রাসার আলেম,মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন, সুশীল, সমাজকর্মী,ব্যবসায়ী, প্রবাসী,সমাজের উঁচু নিচু সর্ব প্রকার মানুষদের সাথে মতবিনিময় কালে ব্যাপক সাড়া পান। এই জনপদ অলি বুজুর্গদের বিচরণ বেশি হওয়াতে ধর্ম অনুসারী মানুষ বেশি। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে আলেম ওলামাদের পছন্দ করেন। সেই হিসেবে ড.নদভী তাদের পছন্দ তালিকায় অন্যতম। ড. নদভী একাধারে উচ্চ পর্যায়ের আলেম,গবেষক, ইসলামিক স্কলার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজস্ব প্রতিষ্টিত ও পরিচালিত আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ বছরের অধিক সময় পুরো বাংলাদেশে আর্থ-মানবতা ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ৭০০ টির অধিক মসজিদ দুই শতাধিক মাদ্রাসা ও স্কুল কলেজের ভবন ও অসংখ্যা গভীর নলকুপ ও গৃহ নির্মাণ করেন অসহায় দুস্থ মানুষদের জন্য।
ড.আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে সিলেক্ট করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন ও দাবী জানিয়ে যাচ্ছেন
বিভিন্ন মহল থেকে।
সম্প্রতি ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ইন্তেকালের পর আপামর জনতার মাঝে ব্যাপক প্রত্যাশা লক্ষ করা যাচ্ছে এবং ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়াতেও লেখালেখি চলছে যে, নতুন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ড.আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভী কে করা হোক। তার কিছু অনন্য যোগ্যতা ও কৃতিত্ব তুলে ধরা হল-চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য,ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্ণর,আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক স্কলার, প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ইং সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর ৪০৯তম বোর্ড অব ডাইরেক্টরের সভায় (দুই) বছরের জন্য শরীয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোনিত করা হয়।এছাড়া তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এর শরীয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর শরীয়াহ বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আলে নাহিয়ান ট্রাস্টের সদস্য,ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিল, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ শাখার নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান,সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইন্টারন্যাশনাল লীগ ফর ইসলামিক লিটারেচার এর সদস্য হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এছাড়া রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে একাধিক গৃহ, মসজিদ,ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, নলকুপ নির্মাণ করেন। ইতোমধ্যে তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য বিশাল একটি প্রজেক্ট অনুমোদন পেয়েছেন বিদেশী অর্থায়নে যা দিয়ে ৫০ হাজার গৃহ নির্মান করবেন বলে জানান মাননীয় এমপি মহোদয়। সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেন যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। প্রায় তিন হাজার কোটির টাকার উন্নয়ন কাজ করেন। সাতকানিয়া লোহাগাড়ার জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তুলেছেন উন্নয়ন এর জন্য।
গত সাড়ে ছয় বছরে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সর্বস্তরের মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। সম্প্রতি করোনায় আটকে থাকা কেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে ২২ হাজার পরিবারকে উপহার বিতরণ করেন। ডিও লেটার, প্রত্যয়নপত্র, যে কারো জন্য সুপারিশ এর করার ক্ষেত্রে কোনো দলমত তিনি দেখেননি। যার কারনে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার মানুষের মুখে মুখে তিনি একজন সহজ সরল পরোপকারী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত ।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রফেসর ড.নদভীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি উঠেছে এখানকার মানুষের পক্ষ থেকে।
এই প্রসঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন হিরু এ প্রতিবেদককে বলেন,প্রফেসর ড.নদভী দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়ে সফলতার অনন্য উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছেন। মাননীয় সাংসদের নেতৃত্বে সংগঠন আর সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার স্বীকৃতিস্বরুপ সরকারের মন্ত্রীসভায় যেন রাখা হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি বিনয়ের সাথে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সম্পাদক রাশেদুল আরেফিন জিসান বলেন,দীর্ঘদিনের অবহেলিত এই জনপদ ২০১৪ থেকে আলোর পথ দেখছে এবং এই এলাকার উন্নয়ন ও সারাদেশের মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য উনার মতো একজন যোগ্য মানুষকে মন্ত্রীসভায় রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানায়। ইসলামি চিন্তক অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দেখতে জোর দাবী জানিয়ে বলেন, মহান সংসদের একমাত্র আলেম এবং ইসলামিক স্কলার হিসেবে ড. নদভীই যোগ্য ও উপযুক্ত। সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বেলাল বলেন, উনি একজন বিশ্ববরেণ্য ইসলামিক স্কলার বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে উনার ব্যাপক পদচারণা রয়েছে। মন্ত্রীসভায় সুযোগ পেলে দেশের জন্য প্রচুর অবদান রাখতে পারবে বলে আমি মনে করি তাই দেশরত্নের কাছে আবেদন জানায় উনাকে যেন মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়।