হাটহাজারী মাদরাসার মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত ও আমার কিছু কথা -প্রফেসর ড. নদভী এমপি

0 14

এমএসকে নিউজ : হাটহাজারী মাদরাসার মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত ও আমার কিছু কথা -প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।

وَٱلَّذِينَ ٱسْتَجَابُواْ لِرَبِّهِمْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ (سورة الشورى : 38)

গত ১৭ জুন ২০২০খ্রি:,বুধবার দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মজলিসে শুরার সভা অনুষ্ঠিত হয়।শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মজলিশে শুরার সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।ইসলামের শুরা পদ্ধতির দাবি হচ্ছে- মজলিশে শুরার গৃহীত সিদ্ধান্ত বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নিতে হবে।সেটি কারো মনোপূত হোক বা না হোক।এতেই সবার কল্যাণ।ফার্সিতে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, “খাতায়ে বুজর্গ গেরাফতান খাতা আস্ত”। যার সরল বাংলানুবাদ হচ্ছে- “বড়দের ভূল ধরাও ভূল” ।
শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন। জীবিত আকাবিরদের মধ্যে তি্নিই আমাদের সকলের মুরব্বী। তিনি শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানীর শীষ্য।আমি তাঁর সামনে আল্লামা আরশাদ মাদানীকে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখেছি। জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ছাত্র জীবন থেকেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং জানতাম। তাঁর সাথে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয় সংযুক্ত আরব আরব আমিরাতের আল আইন প্রদেশে বসবাসরত সিরিয়ান প্রখ্যাত আলেম বশির হুসাইন আশশুকফার বাড়িতে। যিনি পটিয়ার হাজী ইউনুস সাহেব হুজুরের হাতে বায়াত গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের হাতেও বায়াত হন। ১৯৯৯ সালে আমি তাঁকে শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) এর হাতেও বায়াত হওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। তাঁর বাড়িতে মাঝে মাঝে রুহানী ও ইলমী মজলিশ বসতো। সেখানে আল্লামা শফী সাহেব কিছু ওয়াজ-নসীহত করতেন। আমারও মাঝে মাঝে কিছু বলার সুযোগ হতো। আমি আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের পঠিত ফার্সী শ্লোকগুলো আরবি অনুবাদ করে দিতাম।এটি ১৯৯১-৯২ সালের কথা, যখন আমি জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার শিক্ষক ছিলাম।
এই বয়সেও শায়খুল ইসলাম আল্লাম আহমদ শফী এ দেশের ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য যে বহুমুখী অবদান রেখে চলেছেন তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।তাঁর নেতৃত্বেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাওরা হাদিসের সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছে এ দেশে নাস্তিকতা বিরোধী সর্ববৃহৎ আন্দোলন।কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনও বেগবান হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে।
দাওরা হাদিসের সনদের স্বীকৃতি ও মান সংক্রান্ত যে বিলটি জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে তা ছিল মূলত একটি ঐতিহাসিক দলীল।এটি একটি ছোট পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়েছে।যেখানে স্থান পেয়েছে দেওবন্দ আন্দোলনের ইতিহাস-ঐতিহ্য, উসুলে হাস্তেগানা, হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী তথা চার মাযহাব এবং চার তরিক্বা তথা চিশতিয়া, কাদিরিয়া, নকশাবন্দিয়া ও মোজাদ্দেদিয়া তরিক্বার স্বীকৃতি।এ দেশে বিশুদ্ধ ইসলাম চর্চা ও এ ধারার অস্থিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে এ ঐতিহাসিক দলীলটির গুরুত্ব ও তাৎপরয বিষয়ে আমি জাতীয় সংসদের একাধিকবার বক্তব্য রেখেছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সংসদসদস্যগণ আমার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এ ঐতিহাসিক দলীলটি সংসদে পাশের পেছনে যে মানুষটির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা মূল নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল তিনি হলেন শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী।
আমি নিজেও একজন কওমীর সন্তান। আমার বাবা মরহুম আল্লামা আবুল বারাকাত মুহাম্মদ ফজলুল্লাহ আল্লামা খলীল আহমদ সাহরানপুরী (রহ.) এর ছাত্র ছিলেন এবং আল্লামা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) এর ফয়েজপ্রাপ্ত ছিলেন। আমার দাদা আল্লামা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রহ.) এর ফয়েজপ্রাপ্ত ছিলেন। আমার দাদার বাবাও একজন আল্লাহর অলী ও দরবেশ প্রকৃতির ব্যক্তি ছিলেন। তাই আমরা পারিবারিকভাবেই দেওবন্দী মাসলাক ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদা-বিশ্বাস নিয়েই বড় হয়েছি। আর তাই আমি বিশ্বাস করি-এ দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের অস্থিত্ব রক্ষার জন্য কাওমী মাদরাসাগুলো ঠিকে থাকা এবং কাওমী ধারার আলেম-ওলামাদের একতাবদ্ধ থাকা অপরিহারয।তাছাড়া গত তিন দশকেরও বেশী সময় ধরে আরব বিশ্বের সাথে আমার গভীর যোগাযোগ ও সম্পর্ক রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ শতাধিক আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সে আমার যোগ দেয়ার সুযোগ হয়েছে। শায়খ আবুল হাসান আলী নদভীর মতো বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ এর একান্ত শীষ্যত্ব লাভের সুযোগ হয়েছে। সমকালীন বিশ্বের নেতৃস্থানীয় বড় বড় ইসলামি চিন্তাবিদ ও আলেমদের সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি, যেখানে আমি দৃষ্টিভঙ্গির উদারতা ও ভারসাম্যপূর্ণতা শিখেছি।
দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মজলিসে শুরার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে গত দু’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে কাঁদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত ও অসমীচীন। ফেসবুকের মতো একটি পাবলিক প্লেসে দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেমদের বিরোদ্ধে যেভাবে কুৎসা রটানো হচ্ছে- তা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। অনেকেই শীর্ষস্থানীয় আলেমদের কটাক্ষ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, বরং তাঁদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে খুঁজে জনসমক্ষে আনার চেষ্টা করছেন। অথচ হাদিসের শিক্ষা হচ্ছে :
من ستر مسلمًا ستره الله يوم القيامة
মুসলিম শরীফের কিতাবুল হুদুদে বর্ণিত রাসুল (স.) এর সাথে সাহাবী হযরত মায়েয বিন মালেক আল আসলমী (রাঃ) এর ঘটনার মধ্যেও আমাদের জন্যে এ বিষয়ে বড় শিক্ষা রয়েছে।
আলেম সমাজ জাতির দিশারী ও আদর্শ। তাই আবেগের বশবর্তী হয়ে ফেসবুকে যে কোন বিষয়ে পোস্ট দেয়ার আগে হাজারবার ভাবতে হবে। আপনার আবেগপ্রসূত একটি পোস্ট জাতির বৃহত্তর কোন ক্ষতি সাধন করছে কিনা-গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।
পদ পদবীর জন্য লালায়িত হওয়া বা দৌঁড়ঝাপ করা যেমন একজন আলেমেদ্বীনের জন্য শোভনীয় নয়, তেমনি বিধিসম্মত শুরা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করাও ইসলামী আচরণবিধির পরিপন্থী। আল্লাহর রাসুল (স) এরশাদ করেছেন,
إنا والله لا نولي هذا العمل أحدا سأله أو أحدا حرص عليه (متفق عليه)
( আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে দায়িত্ব দেব না, যে তা চায় বা তা পাওয়ার জন্য লালায়িত হয়। [ বোখারী ও মুসলিম])
আল্লাহ তালা এরশাদ করেন :
وَشَاوِرْهُمْ فِى ٱلْأَمْرِ ۖ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَوَكِّلِينَ (سورة آل عمران :159)
( কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ কর। অতঃপর তুমি কোন সংকল্প করলে বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আল্লাহর উপর ভরসা কর। যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে তিনি তাদের ভালবাসেন। [সুরা আলে ইমরান-১৫৯])

সূতরাং দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিয়ে গঠিত মজলিশে শুরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে নেয়ার মধ্যেই দেশ ও জাতির কল্যাণ। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা যতবেশী টানা হেঁছড়া করব ততবেশী ক্ষতি হবে। শত্রুরা হাসবে। সাধারণ মানুষের মনে আলেম-ওলামাদের প্রতি অনাস্থা ও অশ্রদ্ধা জন্ম নেবে।একজন মানুষ কাংখিত পদ হারানোর চেয়ে এ ক্ষতি অনেক ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী।তদুপরি আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর মতো একজন দেশসেরা বিদগ্ধ আলেমের জন্য হাটহাজারী মাদরাসার পরিচালকের মতো প্রশাসনিক দায়িত্বের চেয়ে ইলমে নববীর খেদমাত অনেক বেশী শ্রেয়। তাঁর علمي عملي فكري دعوتي কর্মকান্ড থেকে নতুন প্রজন্ম অনেক বেশী উপকৃত হবে।হাটহাজারী মাদরাসার মতো বিশাল প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়লে হয়তো তাঁর ইলমে নববীর খেদমাত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়তো। প্রজন্ম বঞ্চিত হতো তার জ্ঞানের আলো থেকে।
اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ ( سورة الأنعام :124)
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর সাথে আমার একটি শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর পিতা আল্লামা আবুল হাসান (রহ.)ও একজন বড় আলেম ছিলেন।যার গভীর পান্ডিত্য সর্বজন বিদিত। তিনি ‘তানজিমুল আশতাত’ এর মতো হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ রচনা করে অমর হয়ে আছেন।তিনি চুনতির মাওলানা আব্দুর রশীদ (রহ.)এর সহপাঠি ছিলেন, যিনি আবার আমার আব্বাজানের ছাত্র ছিলেন।
গত কিছুদিন আগে তাবলীগ জামাতের বিভক্তির কারণে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল তার দাগ শুকাতে না শুকাতে আরেকটি ক্ষত সৃষ্টি হোক তা কারোই কাম্য হতে পারে না। তাই দেশ ও জাতির এ সংকটকালে আমাদের আরো সংযত আচরণ করতে হবে।সহনশীলতা ও সহিঞ্চুতার পথ অবলম্বন করে আরো দুরদর্শী হতে হবে। বিভক্তি ও অনৈক্যের পথ পরিহার করে ঐক্যের পথে চলতে হবে। এ দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের ভবিষ্যত নিয়ে আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে। যে কোন ইস্যু নিয়ে হৈচৈ করে মাঠ গরম করার অপরিপক্ক নীতি থেকে সরে এসে আরো বেশী প্রাজ্ঞ হতে হবে।
কওমী ঘরানার আলেমদেরকে বলবো, আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সেন্টার নির্মাণ কাজ চলছে।আপনাদের মতো যোগ্য আলেমদেরকেই এসব মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের দায়িত্ব নিতে হবে। এ সময় আপনারা যদি অযাচিত বচসা ও অনর্থক তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত থাকেন তবে এ দেশে ইসলামের ভবিষ্যত গভীর সংকটের মুখোমুখী হবে।
করোনা সংকটের শুরুর দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা ঘোষণা করলেন, কিছু আলেম বন্ধু আমাকে অনুরোধ করলেন, আমি যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাওমী মাদরাসা ও আলেম ওলামাদের জন্য একটি প্রণোদনা বরাদ্দের জন্য আবেদন জানাই। আমি তাই করলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবার এ সংক্রান্ত একটি ডিও লেটারসহ আবেদন প্রেরণ করলাম। এর কিছুদিন পরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাওমী মাদরাসার জন্য বিশেষ সহায়তা ঘোষণা করলেন। পরবর্তীতে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্যও সহায়তা ঘোষণা করলেন। এটি কি আলেম ওলামা ও মসজিদ মাদরাসার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ নয়?
দেওবন্দের উসুলে হাস্তেগানা হুবহু বহাল রেখে, দরসে নিজামীর নেসাবে কোন পরিবর্তন না এনে দাওরা হাদিসের সনদের স্বীকৃতির মতো দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে-এ দেশের কাওমী শিক্ষাব্যবস্থা ও আলেমদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। পৃথিবীর কোন দেশে কী এর নজীর আছে? এ দেশের জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে আমি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী কর্তৃক সিপাহী বিদ্রোহে নেতৃত্ব দানসহ শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী, রশীদ আহমদ গাংগুহী ও আল্লামা কাসেম নানুতুভী (রহ.) মতো আমাদের আকাবের ও আসলাফ আলেমদের গৌরবগাঁথা নিঃসংকোচে বর্ণনা করেছি। কোন মন্ত্রী, এমপি বা স্পীকার আমাকে বাধাঁ দেয়নি। বরং সবাই হাততালি দিয়ে বাহবা জানিয়েছে।
সুতরাং সবদিক বিবেচনা করে আমাদেরকে আরো সংযত আচরণ করতে হবে। প্রান্তিকতা ও উগ্রতা পরিহার করে الوسطية বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের পথ হবে بين الإفراط والتفريط । আল্লাহ তালা বলেন,

وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيد (سورة البقرة : 143)ً

আমরা চাই না এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক যাতে অামাদের সব অর্জন বিনষ্ট্ হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে দাওয়াতের ক্ষেত্রে হিকমাহ’র গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তা’লা বলেন,
ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ (سورة النحل :125)
আল্লাহর রাসুল (স.) এরশাদ করেছেন :
الحكمة ضالة المؤمن ، حيث وجدها فهو أحق بها
আসুন, আমরা প্রজ্ঞা ও দুরদর্শিতা দিয়ে এ দেশে ইসলামের ভবিষ্যতকে সুসংহত করার কাজে ঝাপিয়ে পড়ি। পরষ্পর বিবাদ বিসংবাদ ছেড়ে ভালো ও সৎ কাজে একে অপরের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াই। অতীতের ছোটখাটো ভুলত্রুটি পেছনে ফেলে একটি সুন্দর ও আলোকিত আগামীর পথে এগিয়ে যাই । আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ (سورة المائدة : 2)

পুনশ্চঃ বর্তমান ঘটনা প্রবাহের প্রেক্ষিতে একজন কওমীর সন্তান হিসেবে এটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত ও প্রতিক্রিয়া মাত্র। কোন প্রকার হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা হিসেবে না দেখার জন্য অনুরোধ রইলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.