যাত্রা শুরু করলো রেজাউলের “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার”

0 0

এম সোলাইমান কাসেমী :: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্দ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার তুলাতলীতে কোভিড-নন কোভিড রোগীদের জন্য ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে প্রস্তাবিত ১০০ শয্যা বর্তমানে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

২৭ জুন শনিবার সকালে (প্রস্তাবিত ১০০ শয্যা) বর্তমানে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (এম.পি)।

এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিকের উপরে মারা গেছে। দেশের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে বলেই করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক পার হলেও দেশে মৃত্যুর হার কম। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশে এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। এতে এটা প্রমাণিত হয়ে যে আমরা সচেতন আছি, অন্যান্য দেশ থেকে আমরা সামাজিকভাবে সচেতনতায় এগিয়ে আছি। চট্টগ্রামের হাসপাতালের সংখ্যা কম উল্লেখ করে তিনি নগরবাসীকে অসুস্থ হলেই হাসপাতালে না ছুটে আগে আইসোলেশন সেন্টারে আসার আহবান জানান।

উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আরো বলেন, রেজাউল করিম চৌধুরী এখনো রাষ্ট্রীয় কোন দায়িত্বে না থেকেও এগিয়ে এসেছেন। এটা অনেক বড় মানসিকতার পরিচয়। তার কাছে আবেদন থাকবে, তিনি নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে যেন একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেন। সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই প্রথম স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আরবান হেলথ কেয়ার করেছেন।আমি অনুরোধ করবো রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচিত হলে যেনো সে ধারা অব্যাহত রাখেন।

উদ্বোধনকালে “মুক্তি করোনা আইসোলেশন সেন্টার” এর উদ্দ্যেক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের যে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো আছে সেগুলো সরকারের এত নির্দেশনার পরও মানুষের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করছে না। রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। এসব দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। নিজে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করেছি এ সময় মানুষের জন্য কিছু করা দরকার। এ জন্য উদ্যোগটি নিয়েছি। যাতে মানুষকে অক্সিজেনসহ ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা টুকু দিতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আইসোলেশন সেন্টারে কোভিড রোগীদের পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে। অনেক সময় মানুষ ছোটখাটো কিছু সমস্যার জন্য ডাক্তার খুঁজে পায় না। তাই আমরা বাইরে একটা হেল্প ডেস্ক বসাচ্ছি। সেখানে নন-কোভিডদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে।’ রোগীরা সব সেবাই পাবেন বিনামূল্যে- যোগ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

এই আইসোলেশন সেন্টার করতে যারা সার্বিকভাবে সহায়তা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

এসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা.নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ শফিউল আজম, বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান, মুক্তিযুদ্ধকালীন সিএমসি স্পেশাল বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এম.এ.মনছুর, কাউন্সিলর হারুন উর রশিদ, শহিদুল আলম শহিদ, লায়ন এম. আশরাফুল আলম, কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, কাউন্সিলর প্রার্থী নুরে আলম মিয়া, পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল আলম, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: ইলিয়াছ, সহ-সভাপতি মোনাফ হাজী, বকশির হাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল্লাহ বাহাদুর, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রুমকি সেন গুপ্তা, সাবিনা আক্তার রুজি, কো-অর্ডিনেটর ইফতেখার আহমদ খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, এমইএস কলেজের ভিপি মো: ওয়াসিম, সিটি কলেজের সাবেক ভিপি মো: বাহার উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত ১০০ শয্যা বর্তমানে ৭০ শয্যার এই আইসোলেশন সেন্টারে আছেন ৮ জন ডাক্তার, ১৬ জন নার্স, ৮ জন ওয়ার্ড বয়, ২ জন আয়া, ২ জন ক্লিনার ও ৪ জন সিকিউরিটি গার্ড। চট্টগ্রামের যেকোনো এলাকার রোগীকে এই আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এতে কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেন সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। অন্যদিকে নন-কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা একটা হেল্প ডেস্ক থাকবে। যেখানে নন-কোভিড রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.