চিটাগাং গ্রামার স্কুলে আর্থিক সহায়তার নামে অভিভাবকদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় অভিভাবকদের ক্ষোভ প্রকাশ
নিউজ ডেস্ক :: গত ২০ জুলাই সোমবার বিকাল ৩ ঘটিকায় নগরীর ইংরেজি মাধ্যম স্কুল চিটাগাং গ্রামার স্কুলের অভিভাবকদের এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির পক্ষ থেকে ক্ষোভ জানিয়ে এক বিবৃতি পেশ করা হয়।
বিবৃতি উলেখ করা হয় যে, নগরীর স্বনামধন্য স্কুল চিটাগাং গ্রামার স্কুল। এই স্কুলে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তদের সন্তানরা পড়ালেখা করে। যাদের অভিভাবকগণ ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও অন্যান্য পেশায় সমর্যাদায় রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাকালীন এই সময়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ টিউশন ফি মওকুফ চেয়ে বিদ্যালয় বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টিউশন ফি মওকুফের জন্য কোভিড-১৯ আর্থিক সহায়তা প্রদান মর্মে যে ফরম শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিকট পাঠিয়েছে তা অতীব দুঃখজনক, মানহানিকর ও নিন্দনীয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতির শিকার হয়েছিল। তবে এবারের সংকট বিশ্বব্যাপী ও ভিন্ন মাত্রিক। করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় জনজীবন বিপর্যস্ত ও স্থবির হয়ে পড়েছে। ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রেণি কার্যক্রম হয়নি। সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় শতকরা ৮০ ভাগ অভিভাবকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে করোনা মহামারির এই দুর্যোগ মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফি পরিশোধ করা অভিভাবকদের পক্ষে সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনাকালীন এই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। নন-এমপিও শিক্ষকদের প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন, এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি সম্প্রতি বেসরকারি স্কুলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে টিউশন ফি’র বিষয়টি সমাধানের আহবান জানিয়েছেন। এর মধ্যেও সি.জি.এস কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণ খুবই দুঃখজনক।
এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মানবিক কারণে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানোর বিষয়ে সি.জি.এস কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেন।