এরাই নগরের মালিক, অামি সেবক মাত্র, এদের সেবা দান করাই অামার কাজ
সিটি মেয়র অা জ ম নাছির উদ্দিন’র সাথে এক ছাত্রী কথা বলার পর তিনি বলেন- এরাই নগরের মালিক , অামি সেবক মাত্র। এদের সেবা দান করাই অামার একমাত্র কাজ । ছাত্রটি সাহস করে বলেন- আমি অপর্ণাচরণ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আমাদের স্কুলের শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত আলো ও ফ্যান নেই। বৃষ্টি হলে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে ছাদ থেকে পানি পড়ে। এমনকি পর্যাপ্ত বসার বেঞ্চও নেই।’ সিটি মেয়রকে কাছে পেয়ে অপর্ণাচরণ স্কুলের এসব সমস্যা ও সংকটের বিষয়ে সিটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই স্কুলছাত্রী।
নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে বুধবার ২৫ জুলাই সকালে সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়ন কাজ পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এসময় অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী সিটি মেয়রের গাড়ির সামনে গিয়ে কথা বলার অনুমতি নেন। অনুমতির পাওয়ার পরক্ষণেই সিটি মেয়রকে এই কথাগুলো বলেন ওই স্কুলছাত্রী। এসময় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তাৎক্ষণিক মোবাইলফোনের মাধ্যমে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশকে অপর্ণাচরণ স্কুলের এসব সংকট নিরসনের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) রায়হান ইউসুফ বলেন, ‘অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী সিটি মেয়রকে তারই স্কুলের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সাহস করে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে লাইট, ফ্যান, ব্ল্যাকবোর্ড সংকটের কথা তুলে ধরার জন্য সিটি মেয়র ওই স্কুলছাত্রীর প্রশংসা করেন।’ সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সঙ্গে সঙ্গে চসিকের এক নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে অপর্ণাচরণ স্কুলের এসব সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন বলেও জানান রায়হান ইউসুফ।
চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ বলেন, সিটি মেয়রের নির্দেশনায় অপর্ণাচরণ স্কুলে গিয়ে তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে যাই। নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলের শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত আলো এবং ২০টি ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে পানি পড়া বন্ধে চসিকের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।