চট্টগ্রাম ১৪ অাসনে নজরুল এমপি ও চট্টগ্রাম ১৫ অাসনে নদভী এমপি চূড়ান্ত
উম্মে হানী বিলকিছ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ১৪ ও ১৫ আসনে আওয়ামীলীগের এক ঝাক মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী বোর্ড উক্ত দুই আসনে এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও এমপি অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বহাল রেখেছেন বলে জানা গেছে। এবার চট্টগ্রাম ১৪ আসন চন্দনাইশ সাতকানিয়া (আংশিক) থেকে ১৩ জন ও চট্টগ্রাম ১৫ আসন সাতকানিয়া লোহাগাড়া থেকে ১৮ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন।তদের মধ্যে কারো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল। আর কারো মনোনয়নপত্র নেয়ার শখ ও নাম প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল। তবে চট্টগ্রাম ১৫ আসনে বাঘা বাঘা প্রার্থী ছিলেন। বিগত নির্বাচনের দুই প্রার্থীও ফরম নিয়ে ছিলেন তারা হলেন এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও আবদুল মোতালেব। অন্যান্যদের মধ্যে আ’লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপÑপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, রুপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মিনহাজুর রহমান ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাঈনদ্দিন হাসান চৌধরী। তাদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম এর সমর্থকদের মধ্যে তার প্রার্থীতা নিয়ে যে তোড়জোড় ছিল বেশী। কারণ তার নেতাকর্মীদের ধারণা ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এবার তিনি নৌকার টিকেট পাবেন। কিন্তু গতকালের একটি পত্রিকায় মনোনীত প্রার্থীদের প্রকাশিত সংবাদে তাদের ধারণা পাল্টে যায়। তাদের আশা গুড়ে বালিতে পরিণত হয়। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী একপ্রকার নির্ধারিত হলেও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। অতি শীঘ্রই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। তাদের যদি উপযুক্ত প্রার্থী দেয়া হয় তাহলে নির্বাচনে তুমুল লড়াই হবে বলে সূত্রেপ্রকাশ। এই নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি হবেন ভাগ্যবান ব্যক্তি। কে এই ভাগ্য ব্যক্তি সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে। এটা মেনে নিতে হবে। উল্লেখ্য এই দুই আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নৌকার প্রতীক কখনো বিজয় হয়নি। সকল ভোটারদের প্রত্যাশা ভোট যেন সুষ্ঠুভাবে হয়। হানাহানিতে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এটা কেউ প্রত্যাশা করে না। মনোয়নপত্র চূড়ান্ত হলে নির্বাচনী হাওয়া জোরে বইবে এবং মাঠঘাট সরগরম হয়ে উঠবে।