প্রফেসর নদভীকে ধর্মমন্ত্রী করার আহবান দক্ষিণ চট্টগ্রামের লক্ষাধিক আলেম সমাজের

0 2

এমএসকেনিজ২৪ডটকম: চট্টগ্রাম ১৫ আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত প্রফেসর ড.আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভী কে মন্ত্রিসভায় ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান দক্ষিণ চট্টগ্রামের লক্ষাধিক আলেম ওলামা। জামায়াতের ঘাঁটি তথা দুর্গকে তছনছ করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা নৌকার ২য় বারের মত বিজয় হওয়ায় প্রফেসর ড.নদভীকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চান আলেম ওলামাগণ। কেননা দীর্ঘসময় এই এলাকা জামাত শিবিরের দুর্গ হিসেবে পরিচিত থাকলে ও সেই দুর্গ কে তছনছ করে দিয়েছেন হ্যামিলনের বাশিওয়ালা খ্যাত প্রফেসর ড.নদভী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে জামাত শিবিরের ঘাটি হিসেবে খ্যাত সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় জামাত শিবিরের সকল ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাস কে কঠোর হস্তে দমন করতে সক্ষম হয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই জনপদ জামাত বিএনপির দাপট ছিল। কিন্তু সেই দুর্গ ড. নদভীর ক্যারিশ্মাটিক নেতৃত্বে নির্মুল হয় যার দরুন জামাত শিবির দিন দিন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধভাবে গড়ে তোলে। যা সদ্য সমাপ্ত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সর্বস্তরের আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক কে বিজয়ী করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। যার ফলে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করে নৌকা প্রতীক। দুই লক্ষ ৭৩ হাজার ১২ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। এবং প্রতিদন্ধী দল ধানের শীষ পায় ৫২হাজার পাচঁশত ৫৬ ভোট যা দুই লক্ষের অধিক ভোটের ব্যবধান। স্বাধীনতার পর থেকে সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় ও কোনো মন্ত্রী পায়নি।পার্শ্ববর্তি আসন চন্দনাইশ, বাশখালী ও চকরিয়াবাসীর কপালে মন্ত্রী জূটলেও এই এলাকাবাসীর ভাগ্যে মন্ত্রী জুটেনি। যার দরুন এলাকার মানুষ খুবই হতাশ ছিল বঞ্চিত হয়েছিল উন্নয়ন থেকে।
এই বার সর্বস্তরের মানুষ আশা রাখেন প্রফেসর ড.আবু রেজা নেজামুদ্দীন নদভী কে মন্ত্রী সভায় স্থান দিবে। ইতোমধ্যে পুরা চট্টগ্রামের আলেম ওলামা ও সাতকানিয়া লোহাগাড়ার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী ও শুভকাঙ্খীরা উনাকে মন্ত্রী সভায় দেখতে চাই বলে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার শুরু করে দিয়েছেন এবং ব্যাপক সমর্থন দিচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারী সাতকানিয়া লোহাগাড়াবাসী সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর যুগ্নসম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন হিরো ও ইসলামী গবেষক অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী ড. নদভীকে মন্ত্রীসভায় দেখতে চাই বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

একাদশ নির্বাচনের পুর্বে প্রফেসর নদভী সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন। সাংবাদিক, কওমী আলেম, সরকারি আলীয়া মাদ্রাসার আলেম,মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন, সুশীল সমাজ,ব্যবসায়ী, প্রবাসী,সমাজের উঁচু নিচু সর্ব প্রকার মানুষদের সাথে মতবিনিময় কালে ব্যাপক সাড়া পান। এই জনপদ অলি বুজুর্গদের বিচরণ বেশি হওয়াতে ধর্ম অনুসারী মানুষ বেশি। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে আলেম ওলামাদের পছন্দ করেন। সেই হিসেবে ড.নদভী তাদের পছন্দ তালিকায় অন্যতম উনি জয়ী হওয়াতে পুরো এলাকাবাসীর খুশির বন্যা বয়ে বেড়াচ্ছে। ড. নদভী একাধারে উচ্চ পর্যায়ের আলেম,ইসলামিক স্কলার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

নিজস্ব প্রতিষ্টিত ও পরিচালিত আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ বছরের অধিক সময় পুরো বাংলাদেশে আর্ত মানবতা ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন ৭০০ টির অধিক মসজিদ দুই শতাধিক মাদ্রাসা ও স্কুল কলেজের ভবন ও অসংখ্যা গভীর নলকুপ ও গৃহ নির্মাণ করেন অসহায় দুস্থ মানুষদের জন্য। তাছাড়া রোহিংগা শরনার্থীদের জন্য হাজার কোটির টাকা ব্যায়ে একাধিক গৃহ, মসজিদ, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, নলকুপ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি রোহিংগাদের জন্য বিশাল একটি প্রজেক্ট অনুমোদন পেয়েছেন বিদেশী অর্থায়নে যা দিয়ে ৫০ হাজার গৃহ নির্মান করবেন বলে জানান মাননীয় এমপি মহোদয়।
সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেন যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। প্রায় দুই হাজার কোটির টাকার উন্নয়ন কাজ করেন।

সাতকানিয়া লোহাগাড়ার জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তুলেছেন উন্নয়ন এর জন্য। গত পাচঁ বছরে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সর্বস্তরের মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন যা নির্বাচনের প্রভাব ফেলে। ডিও লেটার, প্রত্যয়নপত্র, যেকোনো কারো জন্য সুপারিশ এর করার ক্ষেত্রে কোনো দলমত তিনি দেখেননি যার কারনে সাতকানিয়া লোহাগাড়ার মানুষের মুখে মুখে তিনি একজন সহজ সরল পরোপকারী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত । বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রফেসর ড.নদভীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি উঠেছে এখানকার মানুষের পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবীণ অালেমগণ এ প্রতিবেদক কে বলেন,প্রফেসর ড.নদভী দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়ে সফলতার অনন্য উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছেন মাননীয় সাংসদের নেতৃত্বে সংগঠন আর সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার স্বীকৃতিস্বরুপ সরকারের মন্ত্রীসভায় যেন রাখা হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিনয়ের সাথে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক রাশেদুল আরেফিন জিসান বলেন,দীর্ঘদিনের অবহেলিত এইজনপদ ২০১৪ থেকে আলোর পথ দেখছে এবং এই এলাকার উন্নয়ন ও সারাদেশের মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য উনার মতো একজন যোগ্য মানুষকে মন্ত্রীসভায় রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানায়। সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বেলাল বলেন, উনি একজন বিশ্ববরেণ্য ইসলামিক স্কলার বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে উনার ব্যাপক পদচারণা রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.