একজন মেধাবী নারীনেত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী

0 88

এম সোলাইমান কাসেমী : নারীনেত্রী মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম সলিমা সিরাজ মহিলা ডিগ্রি মাদ্রাসা হতে স্টারমার্কসহ দাখিল ও ১৯৯৬ সালে কৃতিত্বের সাথে আলিম পাশ করেন। ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা হতে ফাজিল ও ২০০০ সালে কামিল(মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি লাভ করেন। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবী ভাষা ও সাহিত্যে ডিপ্লোমা কোর্সও সম্পন্ন করেন তিনি।

তিনি চট্টগ্রাম-১৫(লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সাংসদ ও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জননী। বড় মেয়ে ম্যাকানিক্যাল এন্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’এ, মেঝ ছেলে ‘এ’ লেভেল’ এ এবং ছোট মেয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।

আলোকিত ও মমতাময়ী মেধাবী নারীনেত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার পিছিয়ে পড়া নারীদের সুখে-দুখে সবসময় পাশে থাকেন। শতো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি ছুঁটে চলছেন লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার আনাচে-কানাছে। নারী সমাজকে শিক্ষা-দীক্ষায়, কর্মে স্বনির্ভর করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৭ সালে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন নারী শিক্ষা ও জাগরণে অসামান্য অবদান রাখায় তাঁকে ‘জয়িতা’ পুরস্কারে ভূষিত করেন। সমাজ সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে ত্বরান্বিত করতে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে মুগ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। অত্যন্ত বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নম‚লক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার উন্নয়নে তিনি বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন।

রিজিয়া রেজা চৌধুরী একজন দক্ষ সংগঠক ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ। তিনি আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নারী ও শিশু বিভাগের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে গ্রামীণ অবহেলিত নারীদেরকে সচেতন করে তোলতে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব বেশ সফলতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুয়েত পল্লী, আমিরাত পল্লী ও নদভী পল্লী নির্মাণ করে গৃহহীন মানুষদের পুনবার্সন করা হয়েছে এবং ওইসব পল­ীর নারীদের কর্মমূখী বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী নারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া)’, লেডিস ক্লাব, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া মহিলা উন্নয়ন ফোরাম ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সফলভাবে এসব সংগঠনের বিভিন্ন পদে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এসব সংগঠনের মাধ্যমে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গীবাদ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন। লোহাগাড়ায় নারী ও শিশু শিক্ষা উন্নয়নে ‘জনকল্যাণ শিক্ষা কমপ্লেক্স’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয়, গৌড়স্থান উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং সাতকানিয়া আল হেলাল ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি রহিমা খাতুন ছিন্নমূল শিশু শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে ৮৫টি স্কুলের ৩০০০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে এবং ১০০ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি তার তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ হাজার গাছের চারা রোপন করা হয় এবং এজন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.