করোনা আমায় মেরোনা “আমি অভাবী”—কমল চক্রবর্তী
হোসেন মিন্টু : এখানে ছবি গুলো দেখে আপনি ভাবতেই পারেন এটা কোন মেলার দৃশ্য বা অচেনা কোন শহর”না ভুল”এটা করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকার আজ সকাল বেলায় ধারন করা দৃশ্য ।এটি আমাদের চির চেনা বাংলাদেশের অর্থনীতির আন্যতম প্রানকেন্দ্র চট্টগ্রাম এর দূশ্য। শত শত শ্রমিক গাদাগাদি করে কারখানায় “ঢুকছে” কাজ করছে বের হচ্ছে। যেন করোনার আঁতুড় ঘর? করোনা ভয় ওদের নেই। কারন দু চোখে ওদের ক্ষুধার জ্বালা, পরিবারের চাওয়া পাওয়া পিছনে ছুটছে। BJMEA দেশব্যাপি গার্মেন্টস খুলে দিয়েছে। গণ পরিবহণ বন্ধ। কত অসহায় শ্রমিকরা চাকরী বাঁচাতে যে যেভাবে পারছে চাকরীতে যোগ দিচ্ছে। জীবনের চাকা ঘোরাতে জীবনটাই করোনার কাছে বাজি রেখেছে। শ্রমিকদের জীবনের বিনিময়ে তো মালিকদের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। না হয় শ্রমিকরা মাস শেষে বেতনের জন্য বিক্ষোভ করবে? তাতে কি? করোনার বিস্তার ঘটলে তাতে কি? ভাব খানা এমন করোনা আমায় মেরোনা আমি অভাবি?
সরকার আপ্রাণ চেস্টা করছে দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে ও দেশকে করোনা মুক্ত রাখতে। কিন্তু BJMEA এর এমন সিদ্ধান্ত করোনা থেকে দেশ কতটুকু নিরাপদ? যেখানে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সাথে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছে মানুষকে নিরাপদে ঘরে রাখার জন্য ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য। ডাক্তাররা সেবা দিয়ে যাচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সাংবাদিক ও ডাক্তাররা ক্রমশ সংক্রমিত হচ্ছে। যেখানে ডাক্তাররা সুরক্ষিত পোশাক পরেও আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে এই শত শত শ্রমিকরা সামান্য মাক্স পরে কোন প্রকার দুরত্ব বজায় না রেখে কি ভাবে করোনা মুক্ত থাকবে? প্রিয় মালিকরা আপনারা একবার ভাবুন একদিকে যেমন ঝুঁকিতে আছে অসহায় শ্রমিকরা অন্যদিকে ঝুঁকিতে পড়ছে দেশ। এই শ্রমিকরা বাচলে একদিন আবার আপনার কারখানার চাকা সচল করতে পারবেন, নতুবা নয়। এরাই আপনার অর্থনীতি সচল রাখার মেশিন বটে। অন্যদিকে দেশ বাঁচলে আপনি বাচবেন, নতুবা নয়। তাই একবার নয় বারবার ভাবুন।আমাদের আনাড়ি সিদ্ধান্ত গুলো করোনার বিস্তার ঘটাবে নাতো? করোনাভাইরাস অভাবী বা শিল্পপতি বুঝেনা যাকে পাবে থাকেই গ্রাস করবে।