পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য : অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী

0 11

এমএসকে নিউজ :: মানব জীবনে রমজানের রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। রমজানের রোজা এমন একটি ইবাদত তথা দ্বীনি প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, যা মানুষকে সংযমের সু-কঠিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাঁটি সোনায় পরিণত করতে চায়। একটি সীমিত সময়ের পার্থিব জীবনকে অসীম-অনন্ত জীবনের চিরন্তন ধারা স্রোতে বিলীন করে দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপযোগী করতে চায়। এ কারণেই রোজা শুধু পানাহার ও প্রবৃত্তির অবৈধ চাহিদা বর্জনের আনুষ্ঠানিকতা সমন্বিত একটি প্রক্রিয়া নয়। বরং তা একদিকে যেমন শারীরিক ও আত্নিক পরিশুদ্ধির কৌশল, অন্যদিকে মহান আল্লাহর প্রতি আত্নসমর্পণের এক চূড়ান্ত উদাহরণ। রোজা পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে হযরত সালমান ফারসী (রা:) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে প্রিয়নবী ( সা:) ইরশাদ করেন : ” হে লোক সকল! একটি মহান বরকতময় মাস তোমাদের দ্বারে উপস্হিত। এ মাসে এমন একটি গুরুত্বপূ্র্ণ রাত রয়েছে, যে রাতের ইবাদত এক হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। আল্লাহপাক এ মাসে রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসের রাতগুলোতে ইবাদত করা অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ। এ মাসে যে একটি নফল ইবাদত করে তার বিনিময় হিসেবে আল্লাহ তায়ালা অন্য মাসের একটি ফরজের সমপরিমাণ সাওয়াব দান করবেন। আর এ মাসের একটি ফরজ অন্য মাসের সত্তরটি ফরজের সমতুল্য। এ মাস সবর ও ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্যের প্রতিদান হলো জান্নাত। এ মাস পরস্পরের সহানুভূতি ও সদ্ব্যবহার করার মাস। এ মাসে মু’মিনের রিজিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। এ মাসের প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের অার তৃতীয় দশদিন হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের। যে ব্যক্তি পবিত্র এ মাসে তার অধীনস্থ লোকদের প্রতি সদয় ব্যবহার করে তাহলে তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এভাবে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্যের কথা কুরআন – হাদীসে ব্যাপকভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে লিখে শেষ করা দুষ্কর। তাই আসুন, আমরা মাহে রমজানকে সামনে রেখে আত্নশুদ্ধি অর্জন করি এবং বিগত দিনের কৃত সকল পাপ-পন্কিলতা মার্জনার জন্যে আল্লাহর দরবারে তাওবা করে মাগফিরাত কামনা করি, পরকালীন জীবনের অনাবিল শান্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে ধন্য হই। মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন। লেখক : এম.ফিল গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.