করোনা যুদ্ধে অবিরাম লড়ছে স্যাভক পরিবার : শাহাজাহান আলী চৌধুরী
এমএসকে নিউজ :: চলমান মহামারী কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের অঙ্গীকার পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের। আর এই যুদ্ধে সামিল হতে করোনা মোকাবেলায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামে কাজ করে যাচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু বিষয়ক সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাউথ এশিয়ান ভয়েস ফর চিল্ড্রেন (স্যাভক) ।
ইতোমধ্যে লকডাউনের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এরিয়ায় ভাসমান বস্তিবাসী সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সংগঠনটি। বিগত ২৫ মার্চ ২০২২০ ইংরেজি থেকে স্যাভক ফ্রি স্কুলিং -এ পড়ুয়া পাঁচটি শাখায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশাপাশি রিক্সাচালক,দিনমজুর অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছে সংগঠনটি।
রমজান মাসে ও সংগঠনটি তাঁদের জনসেবা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন আরো বড় পরিসরে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের আরো এক হাজার ভাসমান এবং দুঃস্থ মানুষের বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশে লকডাউন চলছে। এতে হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনিক খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সমাজের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ,মধ্যবিত্ত, রিকশাওয়ালা, ভিক্ষুক, পথচারী ও গৃহহীন মানুষের জন্য চালু করেছে এক বেলা খাবার প্রজেক্ট ও ইফতার বিতরণ কার্যক্রম ।
প্রথম রমজান থেকে শুরু করেছে রমজান ফুড গিফট কার্যক্রম। তারা তিন শতের অধিক নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে রমাদান ফুড গিফট বিতরণ করেছে। ইতোমধ্যে সহস্রাধিক স্যাভক ফ্রি স্কুলিং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন জামার পরিবর্তে তুলে দিয়েছে স্যাভক ঈদ ফুড প্যাক।
একই সাথে ঘরে লকডাউনে বসে থাকা পরিবার সহ অসহায় হতদরিদ্র মানুষ থেকে শুরু করে যারা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না,তাদের জন্য ব্যবস্হা করেছে অনলাইন ফ্রি চিকিৎসা সেবা৷ স্যাভক হেলথ ডিভিশন এর আন্ডারে ১৩ জন এমবিবিএস ডাক্তার টেলি মেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত পাঁচ শত এর অধিক মানুষকে তারা অনলাইনে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
সাউথ এশিয়ান ভয়েস ফর চিল্ড্রেন (স্যাভক) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহাজাহান আলী চৌধুরী বলেন, স্যাভক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন মানোন্নয়নে বছরের বারো মাসই কাজ করে থাকেন। স্যাভক এর ৫টি ফ্রি স্কুলিং শাখা রয়েছে। স্কুলে পড়ুয়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য খাদ্য সামগ্রী প্রদানের পাশাপাশি, সমাজে হতদরিদ্র ও ভাসমানের মানুষের জন্যও সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি। এ দুর্যোগটি কারো একার নয়। দুর্যোগটি পুরো বিশ্বের সবার।করোনা মোকাবেলার অংশ হিসেবে সরকারের পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সংগঠনে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছি। সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণের জন্যই ‘ আসুন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই ’ ‘রমাদান ফুড গিফট’ ও একবেলার খাবার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব কার্যক্রম পরিচালিত করছি।
‘মহামারীর এই মুহূর্তে লকডাউনে ঘরে বসে থাকায় মানুষেরা অনেক বেশি অসহায় হয়ে পড়ছে,ঈদের পরও আমাদের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ।সকলের সহযোগিতা থাকলে আরো বেশি মানুষের ধারপ্রান্তে স্যাভক এর সেবা পৌঁছে দিতে পারব বলে আমি আশ্বাস রাখি।