প্রজন্ম পরম্পরায় পনেরই আগস্ট স্মরণ -এডভোকেট ধৃতিমান আইচ

0 1

এমএসকে নিউজ ডেস্ক :: আজ জাতীয় শোকদিবস। সুদীর্ঘ পয়তাল্লিশ বছর পরও এই দিনটি একইরকম শোকাবহতার আবর্তে মুহ্যমান।১৯৭৫ এর পনের আগস্ট বিভীষিকাময় কালো রাত্রির অধ্যায়। একসাথে অনেক নিশংস্র হত্যা ,নিষ্পাপ শিশু হত্যা, নারী হত্যা, যুবক হত্যা, যুবসংগঠক হত্যা, ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়াসংগঠক হত্যা, সেনা হত্যা , সর্বোপরি একটি আর্দশকে হত্যা অর্থাৎ জাতির জনককে হত্যা। দেশের স্থপতি ও নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধানকে তার পরিবারের সদস্যসহ এমন ভয়াবহভাবে হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশ ও জাতিকে বিপথগামী করার অপপ্রয়াস চালানো হয় পরবর্তীকালে।
পরবর্তীতে হত্যাকারীদের সদম্ভ আস্ফালন, রাষ্ট্র হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করার আয়োজন চলেছে,ইতিহাস বিকৃত করার সংস্কৃতি চলেছে, হত্যা কারীদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ এর মতো কালো আইন জারী করেছিল। নিকটজনকে হত্যা করলেও হত্যার বিচার চাইতে না পারার আয়োজন চলেছে কি নির্মম প্রেক্ষাপট।এই দূস্তর পথ পাড়ি দিয়ে আত্মস্বীকৃত খুনিদের আইনগতভাবে মোকাবিলা করে বিচারের মুখোমুখি করতে সক্ষম হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখহাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ক্যারিশিমায়।
ইতিহাসে যার স্থান সুনির্দিষ্ট ও স্বীয় মহিমায় সমুজ্জ্বল, তাকে অস্বীকারের মূঢ়তা বিভিন্ন সরকারের আমলে কম দেখানো হয়নি। এতে করে স্বল্পকালীন সুবিধা হাসিল করা গেলেও চূড়ান্ত বিচারে তা সফল হয়নি। বরং মৃত বঙ্গবন্ধু দিনের পর দিন হয়ে উঠেছেন আরও শক্তিশালী। জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় অবদানই তাকে অজেয় করে রেখেছে। ১৯৭৫ থেকে ২০২০ ইংরেজি পয়তাল্লিশ বছর পর এসেও প্রজন্ম পরম্পরায় স্মরণ করা হচ্ছে স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল জাতিরজনকসহ সেদিন এর সকল শহীদের। আজীবন স্মরণ করবে এ জাতি তার স্রষ্টাকে,এ দেশের জন্য তার মহান কর্মময় জীবনকে,ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে ঘৃণিত খুনিরা।এটাই শাশ্বত নিয়ম। আজকের এইদিনে জাতির জনকসহ সেদিনের সকল শহীদকে বিনম্র শ্রদ্ধা।  লেখক : সংগঠক, মানবাধিকারকর্মী ও এডভোকেট। 

Leave A Reply

Your email address will not be published.