চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নজন থেকে টাকা হাতিয়ে নেন মানবাধিকার নেতা সেলিম
এমএসকে নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আত্নসাতের অভিযোগে মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার কথিত সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি মো. সেলিম হোসেন চৌধুরী (৪২) এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মোঃ ইমরান হোসেন (৩২) বাদী হয়ে চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। যার
সি.আর মামলা নং- ৩১১/২০২০ইংরেজি।
উল্লেখিত মামলার এজহারে মামলার বাদী মো. ইমরান হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে বাদীর নিকট থেকে ২,৬০,০০০/- (দুই লক্ষ ষাট হাজার) টাকা নগদ আত্নসাতের কথা উল্লেখ করা হয়, টাকা নেওয়ার পর থেকে চাকুরী দিব, দিচ্ছি, হয়ে যাচ্ছে বলে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে মো. ইমরান কয়লার ঘর এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করেন। অতঃপর গত ২৬.০২.২০১৮ইংরেজি সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে সেলিম নগদ ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা পরিশোধ করেন ও ১,০০০০০/-(এক লক্ষ) টাকার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিঃ এর হিসাব নং- ০০১২১০০০৭০৮১২-০০৩১ চেক নং- SB NO – 9013956 একখানা চেক প্রদান করেন। অবশিষ্ট ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা অল্প কিছু দিনের মধ্যে নগদে প্রদান করার অঙ্গিকার করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও উল্লেখিত টাকা পরিশোধ না করায় মো. ইমরান হোসেন বায়েজিদ বোস্তামী থানা কতৃপক্ষের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উক্ত মামলা দায়ের করেন। সরেজমিনে অক্সিজেন কয়লার ঘর এলাকায় পরিদর্শনে গেলে বিভিন্ন সূত্র থেকে মো. সেলিম হোসেনের প্রতারণার একাধিক সত্যতা পাওয়া যায়।
সেলিম উদ্দিন নিজেকে মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর ইসলাম মোল্লার ভাগিনা পরিচয় দিয়ে, নুর ইসলাম মোল্লার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়।
সেলিম নিজেকে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ লীগের সভাপতি দাবী করে, শীর্ষ স্হানীয় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি দেখিয়ে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। সেলিম উদ্দিনের প্রতারণার বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রিটন সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ভুক্তভোগী কেউ আইনগত সহযোগিতা চাইলে সর্বোচ্চ ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
সেলিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশন কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর ইসলাম মোল্লা এমএসকে নিউজকে বলেন, সেলিম হোসেনের অপকর্মের বিষয়ে আমরাও তদন্ত করছি, মামলার বিষয়টি অবগত আছি। কেউ যদি অপকর্মে লিপ্ত হয়ে প্রতারনা করে তাহলে ব্যক্তির দায় সংগঠন নিবেনা, আমরা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি কেউ যদি প্রতারণা করে থাকে তাহলে সাংগঠনিক ভাবেও আমরা ব্যবস্হা গ্রহন করবো। এ সময় সেলিমের সাথে কোন প্রকার আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই বলে মতামত প্রদান করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম হোসেন চৌধুরীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এদিকে মামলা করার পর থেকে আতংকে আছেন মামলার বাদী ইমরান হোসেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে গুম করে ফেলার প্রতিনিয়ত হুমকিতে স্বপরিবারে আতংকের মাঝে দিনযাপন করছেন। হুমকি পরবর্তী গত ২১.০৯.২০২০ইংরেজি তারিখে বায়েজিদ থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মামলার বাদি মো. ইমরান হোসেন, যার জিডি নং ১১৩৩। এ বিষয়ে মো. ইমরান হোসেন সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।