আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী’র ইন্তেকালে বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা আবদুল হাই নদভী’র শোক জ্ঞাপন
এমএসকে নিউজ : দেশের খ্যাতিমান আলেম, পীরে তরিকত, আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী সাহেবের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বায়তুশ শরফের পীর সাহেব আল্লামা আবদুল হাই নদভী ম.জি.আ। আল্লামা হাশেমী সাহেব (রাহঃ) কলকাতা আলীয়া এবং পরে ঢাকা আলীয়ায় অধ্যয়নকালীন মুফতি সৈয়দ আমিমুল এহসান মোজাদ্দেদী আল বারকাতী (রাহঃ), আল্লামা আব্দুর রহমান কাশগড়ী নদভী (রাহঃ) ও আল্লামা মমতাজ উদ্দিন (রাহঃ) (ব্যারিস্টার মওদুদের বাবা) প্রমুখ যুগশ্রেষ্ঠ আলেমের শিষ্য ছিলেন। বিবৃতিতে পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আবদুল হাই নদভী বলেন, কীর্তিমান এই আলেমের সাথে ছাত্র জীবন থেকেই আমার মরহুম আব্বাজান আল্লামা আবদুল জব্বার (রাহঃ) এর ছিল ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব। তাঁদের দু’জনের অনেক পত্র বিনিময় ও হস্তলিপির কপি আমার কাছে এবং হাশেমী সাহেব হুজুরের জ্যেষ্ঠ সন্তান অধ্যক্ষ মাওলানা কাযী আবুল বয়ান হাশেমী’র কাছে সংরক্ষিত আছে। আমার আব্বাজান (রাহঃ) ও হাশেমী সাহেব (রাহঃ) একসাথে চট্টগ্রাম ওয়াজেদীয়া আলীয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন এবং এসময় তাঁরা স্বনামধন্য মুহাদ্দিস-মুফাসসির হিসেবে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার শায়খুল হাদিস মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী প্রমুখ তাঁদের সরাসরি ছাত্র ছিলেন। পীর সাহেব আল্লামা আবদুল হাই নদভী বলেন, একজন বড়োমাপের মুহাদ্দিস-মুফাসসির ছাড়াও আল্লামা হাশেমী সাহেব (রাহঃ) একজন সুবক্তা ছিলেন। তাঁর ওয়াজ মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঢল নামতো। তিনি বায়েজীদ জালালাবাদ কূলগাঁও আহছানুল উলুম জামেয়া গাউছিয়া কামিল মাদ্রাসা ছাড়াও আরো অনেক মাদ্রাসা ও খানকা গড়ে তোলেন। তিনি তরিকত ভিত্তিক আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমানে মুহিব্বানে রাসুল গাউছিয়া জিলানী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং ১২ দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) সেমিনারের প্রবক্তা। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজে বিরাট শূণ্যতার সৃষ্টি হলো।
উল্লেখ্য, পীরে তরিকত আল্লামা কাযী হাশেমী সাহেব আজ ২ জুন মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় চট্টগ্রাম মহানগরীর মা ও শিশু হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন-ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বৎসর