রমযানে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ জরুরী

0 0

এম সোলাইমান কাসেমী: আত্নশুদ্ধি ও সংযমের মাস মাহে রমযান। বিশ্ব মুসলিম আত্নার পরিশুদ্ধিতে আত্ননিয়োগ করে এই পবিত্র মাসে।
রমযান আসলেই দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে রোযাদারদের কষ্ট ও দূর্ভোগ চরমভাবে বেড়ে যায়। অথচ রমযান মাস হচ্ছে আত্নশুদ্ধির মাস,কল্যাণ ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস এবং মুসলিম সমাজে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকৃত অর্থে এ মাসে মানুষের নৈতিক চরিত্রের উত্থান ঘটানো মূল লক্ষ্য। স্বভাব-চরিত্র,ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবনসহ সব ক্ষেত্রে মানুষের নৈতিক মান বৃদ্ধি করা পবিত্র মাহে রমযানের মূল শিক্ষা। আমরা যদি রমযান পেয়েও সেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হই, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে?
মহানবী (স:) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, যে বান্দা আমার জন্য রোযা রাখল, আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব, এর চেয়ে উত্তম পাওয়া অার কী হতে পারে এবং নিশ্চয়ই সেই রোযা রাখতে হবে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যই। আর বাস্তবিক অর্থে এই নিয়্যতে যারা রোযা রাখবে নিশ্চয় তারা কোনো বান্দাকে কষ্ট দিতে পারেনা।
তাই ব্যাবসায়ী রোযাদাররা এ মাসের গুরুত্ব উপলদ্ধি করে নিশ্চয়ই কোনো মুসলমানকে কষ্ট দিতে চাইবেন না। আর হাদীসের ভাষা অনুযায়ী আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করে বরং কমিয়ে আনা এবং স্হিতিশীল রাখার মাধ্যমে প্রতিটি রোযাদারই সস্তিতে দ্রব্যমূল্য কিনতে পারবেন এবং সঠিকভাবে রোযা রাখার ক্ষেত্রে কেউই কষ্ট পাবেন না। এভাবে যদি আমরা ব্যাবসায়ী বন্ধুরা রোযাদারদের পাশে দাঁড়াতে পারি,তবে নিশ্চয়ই ইহকাল ও পরকালে প্রভূত কল্যাণ লাভ করতে পারব – ইনশাআল্লাহ। তাই আসুন, পবিত্র রমযান মাসকে আমরা গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করি এবং এ মাসের মর্যাদা বজায় রেখে বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ঐক্য ও সংহতি স্হাপনে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। অতএব দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে সবক্ষেত্রে আত্নশুদ্ধির মাধ্যমে নৈতিকতার উৎকর্ষতায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হোক আমাদের মূল লক্ষ্য। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন!

লেখক:এম.ফিল গবেষক,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.